Menu |||

বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে মাদকাসক্তি বাড়ছে কেন?

অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ  অহনা। এখানে তার ছদ্ম নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিলেন কিন্তু এখন সেসব বাদ দিয়েছেন। বছর খানেক হল তিনি মাদক গ্রহণ করছেন। প্রথমে সিগারেট দিয়ে শুরু আর এখন ইয়াবা।

অহনা বলছিলেন “বাসায় বাবা মায়ের সাথে সমস্যা। সিগারেট খাওয়া শুরু করলাম। একদিন বন্ধুরা বললো ইয়াবা নে। আমি ভাবলাম দুই-একটা খাবো তারপর ছেড়ে দেবো কিন্তু আমার অবস্থা এমন হলো আর ছাড়তে পারলাম না।”

অহনা মাদকাসক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে দাবি করছিলেন বাবা-মায়ের সাথে কলহ এবং তাদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সময় তিনি পাচ্ছিলেন না। একটা পর্যায়ে বন্ধুবান্ধবের সাথে কৌতুহলবশত তিনি মাদক নেন।

বাংলাদেশের মাদক বিরোধী সংস্থা মানস বলছে দেশে প্রায় ৭০ লাখ মাদকাসক্ত ব্যক্তির ১৬ শতাংশই নারী। ঢাকায় আহছানিয়া মিশনে মেয়েদের জন্য একটি আলাদা মাদক নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে।

 

download (1)

 

সেখানকার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ইকবাল মাসুদ বলছিলেন স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েদের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার একটা প্রধান কারণ পরিবার বা বাবা-মায়ের সাথে ভাল সম্পর্ক না থাকা বা বাবা-মায়ের কাছ থেকে তাদের প্রত্যাশামত সময় না পাওয়া।

মাদক বিরোধী সংস্থা মানস বলছে পাঁচ বছর আগে নারীদের মধ্যে মাদক নেয়ার প্রবণতা ছিল ৫ শতাংশ।

তবে পুরুষদেরকে যতটা সহজে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব বা নিরাময় কেন্দ্রে আনা যায়, মেয়েদের ক্ষেত্রে বিষয়টা বেশ জটিল।

ঢাকা আহছানিয়া মিশন বলছে নারীদের মধ্যে ৮৪ শতাংশকে পরিবারের সদস্যদের চাপে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হচ্ছে।

এখন মেয়েরা মূলত কী ধরণের শারীরিক সমস্যায় শিকার হচ্ছে । বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ড.অরূপ রতন চৌধুরী বলছিলেন যেহেতু মেয়েদের সন্তান জন্ম দানের বিষয় রয়েছে তাই মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে একজন মাদকাসক্ত নারী ও তার শিশু।

 

BP-2017-03-24-097-5

 

চৌধুরী বলছিলেন “মেয়েদের পরিবার অত্যন্ত গোপনীয়তা মেইনটেইন করতে চায় যার ফলে চিকিৎসাটা সময় মত হয় না। যখন নিয়ে আসে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।”

আমার আরো একজনের সাথে কথা হলো যিনি এক বিবাহিত এক সন্তানের মা। তিনিও মাদকাসক্ত। কারণ হিসেবে তার অভিযোগ স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়াতে, হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি এক পর্যায়ে মাদক গ্রহণ করতে শুরু করেন।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ইকবাল মাসুদ বলছেন দাম্পত্য কলহের কারণে অনেক গৃহিণী মাদকাসক্ত হচ্ছেন।

 

hqdefault

 

চৌধুরী বলছিলেন “একটা মেয়ে বিয়ের সময় হয়তবা গোপন করে কিন্তু পরে ঠিকই প্রকাশ পায়। এবং সে সন্তান নেয়ার সময় চরম ঝুঁকিতে পরে। হয় অ্যাবরশন হয়ে যায় না হলে বিকলাঙ্গ সন্তান হয়।”

বাংলাদেশের শুধু ঢাকা শহরে নয় দেশর বিভিন্ন স্থান থেকে মাদকাসক্ত নারীরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে আসছেন।

১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে পনের শতাংশ নারী নানা ধরণের মাদকে আসক্ত বলেও সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে। আর এদের ৪৩ শতাংশ নারী সেবন করছেন ইয়াবা।

গবেষকরা বলছেন দিন দিন এই নির্দিষ্ট মাদকটির সহজপ্রাপ্যতার কারণেই এর দিকে ঝুঁকে পড়ছে মেয়েরা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা

» ভেঙে ফেলা হবে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক!

» জামায়াত ‘বাধ্য হয়ে’ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল: শফিকুর

» এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা, বসলেন ইউনূসের পাশের চেয়ারে

» আজকের দিনটি গোটা জাতির জন্য আনন্দের: ফখরুল

» তারেক মনোয়ার একজন স্পষ্ট মিথ্যাবাদী

» কুয়েতে নতুন আইনে অবৈধ প্রবাসীদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে

» সোশ্যাল প্লাটফর্মে লন্ডনী মেয়েদের বেলেল্লাপনা,চাম্পাবাত সবার শীর্ষে

» ফারুকীর পদত্যাগের বিষয়টি সঠিক নয়

» পাকিস্তান থেকে সেই আলোচিত জাহাজে যা যা এল

Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
,

বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে মাদকাসক্তি বাড়ছে কেন?

অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ  অহনা। এখানে তার ছদ্ম নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিলেন কিন্তু এখন সেসব বাদ দিয়েছেন। বছর খানেক হল তিনি মাদক গ্রহণ করছেন। প্রথমে সিগারেট দিয়ে শুরু আর এখন ইয়াবা।

অহনা বলছিলেন “বাসায় বাবা মায়ের সাথে সমস্যা। সিগারেট খাওয়া শুরু করলাম। একদিন বন্ধুরা বললো ইয়াবা নে। আমি ভাবলাম দুই-একটা খাবো তারপর ছেড়ে দেবো কিন্তু আমার অবস্থা এমন হলো আর ছাড়তে পারলাম না।”

অহনা মাদকাসক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে দাবি করছিলেন বাবা-মায়ের সাথে কলহ এবং তাদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সময় তিনি পাচ্ছিলেন না। একটা পর্যায়ে বন্ধুবান্ধবের সাথে কৌতুহলবশত তিনি মাদক নেন।

বাংলাদেশের মাদক বিরোধী সংস্থা মানস বলছে দেশে প্রায় ৭০ লাখ মাদকাসক্ত ব্যক্তির ১৬ শতাংশই নারী। ঢাকায় আহছানিয়া মিশনে মেয়েদের জন্য একটি আলাদা মাদক নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে।

 

download (1)

 

সেখানকার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ইকবাল মাসুদ বলছিলেন স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েদের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার একটা প্রধান কারণ পরিবার বা বাবা-মায়ের সাথে ভাল সম্পর্ক না থাকা বা বাবা-মায়ের কাছ থেকে তাদের প্রত্যাশামত সময় না পাওয়া।

মাদক বিরোধী সংস্থা মানস বলছে পাঁচ বছর আগে নারীদের মধ্যে মাদক নেয়ার প্রবণতা ছিল ৫ শতাংশ।

তবে পুরুষদেরকে যতটা সহজে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব বা নিরাময় কেন্দ্রে আনা যায়, মেয়েদের ক্ষেত্রে বিষয়টা বেশ জটিল।

ঢাকা আহছানিয়া মিশন বলছে নারীদের মধ্যে ৮৪ শতাংশকে পরিবারের সদস্যদের চাপে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হচ্ছে।

এখন মেয়েরা মূলত কী ধরণের শারীরিক সমস্যায় শিকার হচ্ছে । বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ড.অরূপ রতন চৌধুরী বলছিলেন যেহেতু মেয়েদের সন্তান জন্ম দানের বিষয় রয়েছে তাই মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে একজন মাদকাসক্ত নারী ও তার শিশু।

 

BP-2017-03-24-097-5

 

চৌধুরী বলছিলেন “মেয়েদের পরিবার অত্যন্ত গোপনীয়তা মেইনটেইন করতে চায় যার ফলে চিকিৎসাটা সময় মত হয় না। যখন নিয়ে আসে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।”

আমার আরো একজনের সাথে কথা হলো যিনি এক বিবাহিত এক সন্তানের মা। তিনিও মাদকাসক্ত। কারণ হিসেবে তার অভিযোগ স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়াতে, হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি এক পর্যায়ে মাদক গ্রহণ করতে শুরু করেন।

ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ইকবাল মাসুদ বলছেন দাম্পত্য কলহের কারণে অনেক গৃহিণী মাদকাসক্ত হচ্ছেন।

 

hqdefault

 

চৌধুরী বলছিলেন “একটা মেয়ে বিয়ের সময় হয়তবা গোপন করে কিন্তু পরে ঠিকই প্রকাশ পায়। এবং সে সন্তান নেয়ার সময় চরম ঝুঁকিতে পরে। হয় অ্যাবরশন হয়ে যায় না হলে বিকলাঙ্গ সন্তান হয়।”

বাংলাদেশের শুধু ঢাকা শহরে নয় দেশর বিভিন্ন স্থান থেকে মাদকাসক্ত নারীরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে আসছেন।

১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে পনের শতাংশ নারী নানা ধরণের মাদকে আসক্ত বলেও সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে। আর এদের ৪৩ শতাংশ নারী সেবন করছেন ইয়াবা।

গবেষকরা বলছেন দিন দিন এই নির্দিষ্ট মাদকটির সহজপ্রাপ্যতার কারণেই এর দিকে ঝুঁকে পড়ছে মেয়েরা।

Facebook Comments Box


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



Exchange Rate

Exchange Rate EUR: Tue, 3 Dec.

সর্বশেষ খবর



Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Bangladesh Office

Director. Rumi Begum
Adviser. Advocate Koyes Ahmed
Desk Editor (Dhaka) Saiyedul Islam
44, Probal Housing (4th floor), Ring Road, Mohammadpur,
Dhaka-1207. Bangladesh
Contact: +8801733966556 /+8801316861577

Email Address

agrodristi@gmail.com, agrodristitv@gmail.com

Licence No.

MC- 00158/07      MC- 00032/13

Design & Devaloped BY Popular-IT.Com
error: দুঃখিত! অনুলিপি অনুমোদিত নয়।